দেখুন আবারও ডেঙ্গিতে মৃত্যু বিধাননগরে এক মহিলা..


বিধাননগর পুরসভার দাবি, মশাবাহিত রোগ, বিশেষ করে ডেঙ্গিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ কমছে। মৃত্যুর ঘটনাও আর ঘটছে না। পুরসভার এই দাবি যে ভুল, ফের তা প্রমাণ হয়ে গেল। চার দিন ধরে জ্বর ও ডেঙ্গির উপসর্গ নিয়ে ভুগছিলেন বাগুইআটির পূর্ব নারায়ণতলার গৃহবধূ, বছর পঁয়ত্রিশের শম্পা গোমস্তা। সোমবার রাত ১টা ৪০ নাগাদ দক্ষিণ শহরতলির বাইপাস সংলগ্ন এক বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হল তাঁর। শম্পাদেবীর ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ হিসেবে ডেঙ্গি লেখা রয়েছে। বিধাননগর পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে নতুন করে এই মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বিগ্ন বিধাননগর পুরসভা।পূর্ব নারায়ণতলায় বহু মানুষ জ্বরে আক্রান্ত। গত সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমলেও তিন দিনের নিম্নচাপের বৃষ্টিতে ফের কিছু জায়গায় জল জমায় এলাকার মানুষ ফের আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ফের ওই জমা জলে ডেঙ্গির মশা বংশবিস্তার করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তাঁরা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, পুরসভা কাজ করলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা কম। জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমার পরেই পুরসভা কাজে ঢিলে দিয়েছে। যদিও পুরসভার দাবি, মশা মারার তেল বা ব্লিচিং পাউডার নিয়মিত ছড়ানো হয়েছে।জুন থেকে এখনও পর্যন্ত বিধাননগর পুর এলাকায় প্রায় ছ’শতাধিক মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। পনেরো জনের ডেঙ্গিতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে বাসিন্দাদের দাবি। যদিও এই পরিসংখ্যান মানতে রাজি নয় পুরসভা।বিধাননগর পুরসভার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায় বলেন, ‘‘মশাবাহিত রোগে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা তুলনায় কমেছে। শীতের মরসুমও প্রায় এসে গিয়েছে। তার মাঝে এই মৃত্যুর ঘটনা চিন্তা বাড়াচ্ছে। ওই এলাকায় নতুন করে মশার দাপট বাড়ল কি না, দ্রুত তা খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।’’

Comments

Popular posts from this blog

Big breaking news india

মমতার রাজে শিক্ষকদের কি অবস্তা দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির নাম জানে না এখুনি দেখুন এই ভিডিও।

এই তীব্ৰ গরমে মোদী সরকার দেশের জওয়ানদের দিতে চলেছে এক বিশেষ সুবিধা।